Friday, February 7, 2020

মুজিব শতবর্ষে আপনার জন্য থাকছে যেসব বিশেষ সুযোগ সুবিধা?

মুজিব শতবর্ষ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে শুধু উদযাপনই নয়, বরং দেশের মানুষের জন্য এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে থাকছে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা। 

এরইমধ্যে কিছু কিছু বিষয় চূড়ান্ত করা হয়েছে। আরও কিছু সুযোগ-সুবিধা নিয়ে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গবেষণা ও অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে জানা গেছে, জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া ভাতার পরিমাণ বাড়াবে। বর্তমানে দেশের এক লাখ ৮৯ হাজার ৩১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানী ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নানা কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত বছরগুলোতে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতার পরিমাণ বেশ কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে মাসিক ১২ হাজার টাকা সম্মানী ভাতাসহ দুটি উৎসব ভাতা ১০ হাজার টাকা হারে দেওয়া হচ্ছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এর পরিমাণ বাড়ানো যায় কিনা তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।’
তিনি জানান, ‘গত অর্থবছর থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতার পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ ভাতা বাবদ জনপ্রতি ২ হাজার টাকা এবং ভাতাপ্রাপ্ত জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মহান বিজয় দিবস ভাতা ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ৬৮ হাজার ৩৮টি গ্রামে একটি করে দুস্থ ও দরিদ্র পরিবারকে দুই লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা ব্যয়ে একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ জন্য দুই বছরে বরাদ্দ প্রয়োজন দুই হাজার ৪০ কোটি ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮০ টাকা।
এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ‘চলতি অর্থবছর থেকেই আমরা এ কর্মসূচি শুরু করতে চাই। চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দ বাতিল করে ৩০ হাজার বাড়ি নির্মাণ খাতে ৮৯৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা স্থানান্তরের একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি জানান, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ৬৮ হাজার ৩৮টি গ্রামে একটি করে মোট ৬৮ হাজার ৩৮টি দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি দুস্থ ও দরিদ্র পরিবারের মধ্যে বিতরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ অনুযায়ী প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগরিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সহজ হবে।
এদিকে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীতে দুই লাখ প্রশিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীকে জামানত ছাড়াই পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্মসংস্থান ব্যাংক। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষায়িত ব্যাংকটি মূলধনের সরকারি অংশের ১৩৫ কোটি টাকা চেয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। অর্থ সচিবের কাছে এ টাকা ছাড়ের বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চেয়ে তৃতীয়বারের মতো গত ২৭ জানুয়ারি চিঠি দেয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। চিঠিতে বলা হয়, কর্মসংস্থান ব্যাংক আইনের ৭ (১) ধারা মোতাবেক পরিশোধিত মূলধনের ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬০০ কোটি টাকার মধ্যে সরকার কর্তৃক অপরিশোধিত ১৩৫ কোটি টাকা ছাড়করণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মগ্রহণের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন শুরু হবে চলবে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, ‘ব্যাপকভাবে পালিত হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পৃথক কর্মসূচি নিয়েছে। এসব কর্মসূচি পুরোটাই দেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য। কারণ, বঙ্গবন্ধু সারাটা জীবন সাধারণ মানুষের কথাই ভেবেছেন এবং জীবন দিয়েছেন।’
সুত্র : বাংলা ট্রিবিউন

বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নতুন রূপে

নদীপাড়ের নকশা। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর এমন রূপ নেবে ওই এলাকা
বাতাস ছড়াবে ফুলের সৌরভ, পাওয়া যাবে নির্মল বাতাস

বদলে যাচ্ছে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ

এ সৌন্দর্য আর স্বস্তি এনে দেবে বদলে যাওয়া বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের দুই তীর। সরকার রাজধানী ঢাকার চারপাশে বয়ে যাওয়া চার নদ-নদী বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা আর বালুর দুই তীরের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে তীর ফিরিয়ে দেওয়ার যে মহাপরিকল্পনা নিয়েছিল এখন তা জোরেশোরে বাস্তবায়নের কাজ চলছে। তীর রক্ষার মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ) বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালুর তীর অবৈধ দখলমুক্ত করার কাজ শুরু করে। 
প্রথম পর্যায়ে টানা অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই তীর উদ্ধারের পর এখন চলছে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটি স্থাপন। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে বর্তমানে দুই নদ-নদীর তীরের পরিবেশগত উন্নয়নসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের কাজও চলছে। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের তীরে বসছে সীমানা পিলার, চলছে মাটি খননের কাজ। এসব কাজ শেষ হওয়ার পর শুরু হবে ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ। ঢাকার আদি চেহারা ফিরিয়ে আনার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নগরবাসীর বিনোদনের সুন্দর সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সরেজমিন দেখা যায়, রামচন্দ্রপুর মৌজার তুরাগ তীরে উদ্ধার করা জমিতে বসানো হচ্ছে ওপরে ১০ ফুট ও মাটির নিচে ১৬ ফুটের বিশাল কংক্রিটের সীমানা পিলার। একই সঙ্গে চলছে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজও। দিনরাত সমানে চলছে এ কর্মযজ্ঞ। ইতিমধ্যে কামরাঙ্গীর চরসহ প্রকল্পের বিভিন্ন এলাকায় কৃষ্ণচূড়া, কনকচূড়া, রাধাচূড়া, বকুল, নিম, নাগেশ্বর, জারুল, পলাশ, কাঠবাদাম, শিউলি, পম্পা, কদম, কামিনী ফুলসহ প্রায় ১ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপপ্রকল্প পরিচালক মতিউল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে নেওয়া ৮৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার এ প্রকল্প ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে প্রকল্পের আওতায় ঢাকা নদীবন্দর এলাকায় ৩ হাজার ৮০৩টি সীমানা পিলারের ৫ হাজার ২৬৬টি পাইলের মধ্যে ২ হাজার ৫০টি পাইল ও ৫০০ পিলার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় টঙ্গী নদীবন্দর এলাকায় ২ হাজার ৬টি সীমানা পিলারের মধ্যে ২ হাজার ৬৬২টি পিলারের ১৩০টি পাইলের কাজ শেষ হয়েছে। রামচন্দ্রপুর থেকে বসিলা ও রায়েরবাজার খাল থেকে কামরাঙ্গীর চর পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, কিওয়াল, ওয়াকওয়ে অন পাইল ইত্যাদি নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে ১ কিলোমিটার কিওয়ালের পাইলিং ও ৬৫০ মিটার কিওয়ালের বেইজ কাস্টিং শেষ হয়েছে। ওয়াকওয়ে অন পাইলের কাজ চলমান রয়েছে। ওয়াকওয়ে অন পাইলের ৯৭০টি পাইলের মধ্যে ৪৫০টি (আড়াই কিলোমিটার) পাইলের কাজ শেষ হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের মধ্যে ছয়টি পন্টুন ও তীরভূমিতে চারটি ইকো পার্ক ছাড়াও বসার বেঞ্চ, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, ভারী যানবাহনের জন্য ১৯টি জেটি নির্মাণ, বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের তীরে উন্নয়নকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চললেও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের অধীনে আড়াই হাজার সীমানা পিলার নির্মাণের দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। একইভাবে ঢাকা ও টঙ্গী নদীবন্দরের অধীনে ছয়টি ভারী জেটি নির্মাণের দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলমান আছে। বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানান, দখলে-দূষণে ঢাকার চারপাশের মুমূর্ষু নদ-নদীগুলোকে উদ্ধারে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বিআইডব্লিউটিএর নেতৃত্বে গত বছর ২৯ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল নদীমুক্ত-যুদ্ধ। আমরা এখনো মাঝদরিয়ায়। যুদ্ধ এখনো চলছে। দরিয়া পাড়ি দিয়ে তীরে পৌঁছাতেই হবে আমাদের। নদ-নদীগুলো দূষণমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন করার প্রত্যয় জানিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, নর্দমায় পরিণত হয়ে যাওয়া ঢাকার চারপাশের নদ-নদীগুলোকে দখল-দূষণমুক্ত করে পরিচ্ছন্ন প্রবহমান নদ-নদীতে পরিণত করে পাড়ে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলে ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করা হবে।

কৃষ্ণচূড়া, কনকচূড়া, রাধাচূড়া, বকুল, নিম, নাগেশ্বর, জারুল, পলাশ, কাঠবাদাম, শিউলি, চম্পা, কদম, কামিনী- এমন অসংখ্য ফুলের গাছ শোভা ছড়াবে বুড়িগঙ্গা-তুরাগের দুই তীরে। সুগন্ধ বিলাবে তীরের মানুষের মধ্যে। আর কিছু দিন গেলেই এমন সৌন্দর্য হাতছানি দিয়ে ডাকবে বুড়িগঙ্গা-তুরাগ পাড়ের লোকজনকে। যারা একটু মুক্ত হাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত ছটফট করছেন, একটু নির্মল বাতাস গ্রহণের জন্য যারা দিনের পর দিন পার করছেন; সেই নগরবাসীর একটি অংশ এমন সৌন্দর্যের দেখা পাবেন খুব শিগগির।


Thursday, February 6, 2020

টেলিটক বিকশিত হচ্ছে না কেন?

টেলিটক বিকশিত হচ্ছে না কেন?  কারণ জানালো মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন

টেলিটক/ Teletalk


আমলাতন্ত্র, কম বিনিয়োগ ও জবাবদিহিতার অভাবে টেলিটক বিকশিত হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকই চায় তার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ভালো চলুক। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির লাভের প্রতিযোগিতায় লাগাম টানতেই রাষ্ট্র তার নিজের প্রতিষ্ঠান তৈরি করে।
আপদকালীন সময় মোকাবেলায় বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থেকে সরকার টেলিটকের যাত্রা শুরু করেছিল। রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক চায় তার অর্থ রাষ্ট্রেই থেকে যাক। বর্তমানে আমরা ৩.৮ বিলিয়ন ডলার কথা বলতে ব্যয় করছি। যার ৯০ ভাগই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি আরও বলেন, জিডিপি’তে টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান ৬.৫ শতাংশ। বিপুল সম্ভাবনার একটি খাত থেকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অর্জন প্রায় শূন্যের কোটায়। ১৬ কোটি ২০ লক্ষ গ্রাহকের মধ্যে টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৪৮ লক্ষ।
বর্তমানে টেলিটক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সাংসদ ও মন্ত্রী পর্যায়েও টেলিটক ব্যবহার করার নজির পাওয়া যায় না। কিন্তু কেন এমন দশা এ প্রশ্ন খুঁজতেই আমরা টেলিটক সম্পর্কে গবেষণা করে কিছু তথ্য গণমাধ্যমকে জানাতে চাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ করেছি যে, টেলিটকের সেবার মূল্য অন্যান্য অপারেটরের তুলনায় কম। 2G নেটওয়ার্ক সারাদেশব্যাপী রয়েছে তবে তা দুর্বল। 3G নেটওয়ার্ক সারাদেশ ব্যাপী নেই। 4G নেটওয়ার্ক রয়েছে শুধুমাত্র ঢাকায়। রিটেলার সংখ্যা খুবই নগণ্য। মোবাইল ব্যাংকিংই রিচার্জ করার একমাত্র ভরসা।
BD অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলছেন, আমরা এ বার টেলিটকের ব্যবস্থাপনার দিকে একটু নজর দেই। চেয়ারম্যান মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যবস্থাপনা পরিচালক BTCL থেকে আগত, তাছাড়া জিএম, ডিজিএম, এজিএমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিটিসিএল বা ডাক বিভাগ থেকে বদলী হয়ে আসা।
প্রচলিত কথা আছে মন্ত্রণালয়ে তদবির করে লাভজনক বলে অনেকেই টেলিটকে বদলী হয়ে আসেন। এসব কর্তাব্যক্তিদের জবাবদিহিতা কোথায়? মন্ত্রণালয় বা তার মূল প্রতিষ্ঠানে। শাস্তি হলে কি হয়? পূর্বের কর্মস্থলে বদলী। যখন জিপি ও রবির লাইসেন্স বাতিলের প্রশ্ন আসলো তখন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বারবার বলেছেন আমরা টেলিটক দিয়ে বিকল্প সেবা তৈরি করবো।

মহিউদ্দিন বলেন, মন্ত্রীর ইচ্ছা ও চিন্তা ভাল। এই প্রতিষ্ঠানটি অল্প সংখ্যক গ্রাহক নিয়েও লোকসানে নাই। তবে রাষ্ট্রীয় সুবিধার মূল্য ও বিনিয়োগের সুদ ধরলে এটি একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান।
যেখানে জিপি, রবি ও বাংলালিংকের বিনিয়োগ যথাক্রমে ৪০, ৩০ ও ২০ হাজার কোটি টাকা সেখানে টেলিটকের বিনিয়োগ মাত্র ৪ হাজার ৮ শত কোটি টাকা। টেলিটকের নিজস্ব কোন ভবন নাই। ৩টি আলাদা ভাড়া ভবনে চলছে টেলিটকের কর্মকাণ্ড।
এখানে জবাবদিহিতার কোন বালাই নাই। টেলিটকের MD নিজেই দুটি প্রকল্পের পরিচালক। গ্রাহকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে উনারা কথা বলতে চান না। দুর্নীতি-অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতা এখানে একাকার। টেলিটকের কাছে BTRC পাওনা রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৬ শত কোটি টাকা। যা কিনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ইকুইটির জন্য রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে দক্ষ জনবলের অভাব নেই তবে সুশাসনের রয়েছে চরম অভাব।

টেলিটককে লাভজনক করতে মোবাইলফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের ১০টি প্রস্তাবনা-

* প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সচিব না হয়ে টার্গেটের ভিত্তিতে বিকল্প দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে নিয়োগ করা যেতে পারে।
* ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হবেন টেলিটকের নিজস্ব কর্মকর্তা BTCL বা ডাক বিভাগের নয়।
* প্রকল্প পরিচালক হবেন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যেকোনো মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব।
* স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য একটি গ্রাহক ফোরাম থাকবে। 
* নিজস্ব জমিতে নিজস্ব ভবন গড়ে তুলতে হবে।
* BTS গুলি সক্রিয় করে সারাদেশে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক পরিচালিত করতে হবে।
* সরকারি, আধাসরকারি, সামরিক ও স্বায়ত্তশাসিত সকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেটেলিটকের সমন্বিত যোগাযোগের মাধ্যমে টেলিটকের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।
* তরঙ্গের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করে ইন্টারনেটের গতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে আনতে হবে।
* সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে আরও প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন।
* অর্থ ছাড় করতে মন্ত্রণালয়ের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে পরিচালনা পরিষদের মাধ্যমে দ্রুত মিটিং করে অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
https://zoddha71.blogspot.com/2020/02/blog-post_6.html

Monday, February 3, 2020

আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স সহজেই পাওয়ার উপায়?

বিদেশের মাটিতে আয়ের জন্য অন্যতম একটি পেশা হতে পারে ড্রাইভিং। আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স সহজেই পেতে পারেন যেভাবে,

International Driving License


ব্যক্তিগত মোটরযান নিয়ে দেশের বাইরে যেতে চাইলেও থাকতে হবে International Driving License. এছাড়াও বাইরের দেশগুলোতে গাড়ি খুব সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেরই শখ থাকে একটি প্রাইভেট কারের মালিক হওয়ার। গাড়ি সহজলভ্য হলেও আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া সবার জন্যই সহজ হয় না।

আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট পাওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে বৈধ বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। আপনার যদি মোটরযান চালানোর বাস্তবজ্ঞান থাকে আপনাকে আর কোনো পরীক্ষা দিতে হবে না। ‘দ্য অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান দেশে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট দিয়ে থাকে।

আপনাকে প্রথমে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট এর আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনপত্রটি দ্য অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ থেকে সরাসরি গিয়ে সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া BRTA ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

আবেদন করার জন্য যা যা প্রয়োজন->>

চার কপি ছবি (১-টি পাসপোর্ট সাইজ +৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজ) BRTA কর্তৃক প্রদত্ত ড্রাইভিং লাইসেন্সের সত্যায়িত কপি পাসপোর্টের ফটোকপি আবেদন ফি ২৫০০৳ টাকা।
আবেদন ফরমটি পূরন করা হয়ে গেলে আপনাকে সব কিছু নিয়ে সকাল ১০-৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের মধ্যে যেতে হবে নিচের ঠিকানায়->

বাংলাদেশ অটোমোবাইল এ্যাসোসিয়েশন ৩বি আউটার সার্কুলার রোড, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭
যোগাযোগ: +৮৮০-১৭১১৮১৯৯৫৮-৯/+৮৮০-১৯৭৯২৯৯৭৮৬ ফোন নং: +৮৮০-০২-৯৩৬১০৫৪

আসন্ন ইউপি ২০২১ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দিকনির্দেশনা এবং সহযোদ্ধাদের সম্পর্কে আলহাজ্ব মোঃ হায়দার আলী হাওলাদার সাহেবের খোলামেলা আলোচনার কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম Subsc ribe প্রিয়, গৌরীপুর বাসি ও সম্মানিত ভোটারগন এবং আমার শুভাকাঙ্ক্ষী আপনারা দেশ-বিদেশে যে যেখানে অবস্থান করছেন ...