মিজানুর রহমান আযহারীর মতো ক্ষুদে বয়সী বক্তার সাথে অপেক্ষাকৃত সিনিয়র আলেমদের হিংসাত্মক বিতর্ক বড়ই বেমানান। https://zoddha71.blogspot.com/2020/02/blog-zoddha-azhari.html
সত্যি বলতে গেলে মিজানুর রহমান আযহারীর ভক্ত তরুণ স্রোতারা সম্পুর্ণ ভাবে তার তৈরি বলা চলে,তার অধিকাংশ স্রোতারা ইউটুবার ফেইসবুকার তরুণ সমাজ, কেই খেলার ভক্ত, কেউ খেলোয়াড় আবার কেউ জিমে করে এমন তরুণ সমাজ। যে ভক্তদের কখনোই আমাদের প্রচলিত আলেম সমাজ কাছে টানতে পারে নি, তরুণ সমাজ যা কিছুতে আসক্ত ঠিক সেই অনুযায়ী উপমা পেশ করে তাদের ইসলামের দিকে উজ্জিবীত করার নাম আযহারী।প্রতিটি ইয়ং জেনারেশন সব সময় স্মার্ট ইনস্পায়ার হতে চায়, যুগান্তকারী সৌন্দর্য সৃষ্টি কিংবা আধুনিকতার সাথে তারা নিজেদের মানিয়ে নিতে চায়, আযহারী ইসলামের প্রতি তরুণ সমাজকে উৎসাহিত করতে কিছু হিকমাহ অবলম্বন করে বক্তব্য দিয়ে থাকেন,যার চক্ষুশুল হিসেবে কতিপয় মিজানুর রহমান আজহারীর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছেন।
আগেই বলেছি, মিজানুর রহমান আজহারীর কিছু গলদ অবশ্যই আছে,তবে তা কেবল মাত্র সাংগঠনিক জ্ঞান না থাকার অভাবে, উনার বয়স এখনও ছাত্র রাজনীতি করার মতো বয়স, জামায়াতে ইসলামীতে উনার বয়সী কোন জেলা আমীরও আছে কিনা সন্দেহ, হয়তো ছাত্র জীবনেও তিনি তেমন বেশী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না, তাই বিচক্ষনতার দিক থেকে কোন ভুলত্রুটি হলে প্রতিপক্ষ মত উনার উপর কতটা সমালোচনার সুযোগ নিতে পারেন,তার মাপকাঠির বাহিরে,তার অধিকাংশ আচরণ বাচ্চা সুলভ, তবে অভদ্র নয়, তাই প্রতিপক্ষের সাথে প্রতিযোগীতা মুলক আচরণ এখনও তার মধ্যে লক্ষনীয় নয়, হয়তো অচিরেই প্রতিপক্ষরা সেই চালাকও বানিয়ে ফেলবেন আযহারীকে।
ইতিমধ্যে তার কিছুটা নজীরও আমরা দেখতে পেয়েছি, প্রাথমিক পর্যায়ে সনামধন্য বিভিন্ন আলেমদের সমালোচনার মুখে পড়ে কোন প্রকার অন্যায় না করেও একাধিকবার ক্ষমা চেয়ে ছিলেন মিজানুর রহমান আযহারী, কিন্তু তার উপমাগুলো কতিপয় আলেমদের কাছে সঠিক মনে না হলেও এই যুগের তরুণরা খুবই অুনপ্রাণিত হয়েছে তার প্রতি, তিনি ক্ষমা চাওয়ায় তারা আরও বেশী মিজানুর রহমান আযহারীর পাশে এসে দাঁড়ান, কিন্তু সেই মিজানুর রহমান আযহারী এখন আর সমালোচনাকে ভয় পেয়ে ক্ষমা চান না, বরং পাল্টা দলিলও পেশ করছেন।
এতো কিছুর মাঝেও তার কিছুটা ভুল থাকবে না,তা কি করে হয়, তাকেও যে আমরা ভুলের উর্ধে মনে করবো,তা করলেও যে ঈমান নষ্ট হবে, তেমনি কোন সমালোচক মহা আলেমকেও ভুলের উর্ধে মনে করলে তার ঈমান থাকবে না, সুতরাং ভুলের উর্ধে কি এমন কোন আলেম আছেন? জান্নাতী হুরের সাথে মিজানুর রহমান আজহারী ঐশ্বরিয়া রায়ের সাথে তুলনা করে ছিলেন, যা আমার দৃষ্টিতে একটি মহা অপরাধ, কিন্তু এই অপরাধের একটা মাত্রা আছে,সেই অপরাধে আপনি আমিও অপরাধী, যেমন ঐশ্বরিয়াকে চিনেন না বা তার নাচ দেখেন নাই এমন অপরাধী খুব কম আছে, ঠিক সেই পরিমান অপরাধে অপরাধী আযহারীও এমন উপমা দেয়ার জন্য, তাহলে আমরা কি ভালো?কিন্তু কথাটার রুপক অর্থ করলে জান্নাতে ঐশ্বরিয়ার চেয়ে এমন মহা কিছু পাওয়া যাবে, আমার দৃষ্টিতে এটিই ছিলো আযহারীর সবচেয়ে নিচক অপরাধ।
ব্যক্তি আযহারী বয়সের তুলনায় এখনো অপরিপক্ক,বিরোধী মতের আলেমদের কাছে অনেক স্নেহের এবং আদরের হওয়ার কথা, কিন্তু তা না করে তার সাথে যে পরিমান জগন্য আচরণ করা হচ্ছে, একদিন এই আযহারী ইসলামকে রাষ্ট্রীয় সংবিধানে অধিষ্ঠিত করান আন্দোলনে নিজেকে রাজনৈতিক মাঠে সক্রিয় করলে তার এই জনপ্রিয়তার উত্তাপও সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে, যেই সকল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানকে পুঁজি করে কতিপয় আলেমরা সমালোচনা করছেন, সেই সকল প্রতিষ্ঠানেও আযহারীকে ভালোবাসার অসংখ্য ছাত্র শিক্ষিক তৈরি হবে,সেই দিন কোথায় থাকবেন এই সমালোচকরা, যদিও রাজনৈতিক মাঠে যোগদান না করলে বেশী দিন আলেমদের যশ খ্যাতি বজায় থাকে না,তাই এমন বহু আলেম নিজেকে সাফল্যের চুঁড়া থেকে মাটিতে নামিয়ে নিয়ে এসেছিলেন।
মহান আল্লাহ সকল আলেমদেরকে এক হয়ে কোরআনের ময়দানে ইসলামের রাজ ক্বায়েমের আন্দোলনে কাজ করার মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবিধানে দ্বীনের পতাকাকে সমুন্নত করার তাওফীক দান করুক, আমীন।